রংপুরের পীরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ১৭তম স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তাছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি একই মামলার অপর আসামি তার ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবু সাঈদ পীরগঞ্জ উপজেলার পীলগড় এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে। তবে তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ১২ বছর থেকে পলাতক রয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। লাইজু বলেন, অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের টাকার দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার পালগারদ গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরবর্তীতে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরও এক নারীকে নিয়ে করেন।
ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ তার নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার সহযোগিতায় তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
পরে মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন।
ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক। ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক আছেন আবু সাঈদ। অপরদিকে, তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক। তবে হত্যার ঘটনায় তাসকিরা সম্পৃক্ততা না থাকায় আদালত তাকে খালাস দেন।
জেএন/পিআর