চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষে পর পর দুই রাত সংঘর্ষের পর শুক্রবার আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। বিকেল থেকে বিভিন্ন হলে বিবাদমান পক্ষগুলির অবস্থান ও মহড়ার ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যেকোন সময় আবারও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে শাখা ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স গ্রুপ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভোরে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
ওই সংঘর্ষের জেরেই শুক্রবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শাহ আমানতে হলে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয় বিবাদমান পক্ষ দুটি। এতে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহ আমানত হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে আটকে পড়েছি। বের হতে পারছি না। বের হলে না জানি কোন দিক থেকে ইট-পাটকেল এসে পড়ে।
অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তিনদিন থেকে খুব আতঙ্কে আছি। প্রয়োজন ছাড়া তেমন বাইরেও যাই না।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাসে কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, ঝামেলা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জয়নিউজ/জুলফিকার