ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৯। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ শতাধিক মানুষ।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) তুরস্কের সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম ইরানে এই ভূমিকম্প আঘাত হনে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার তুরস্কের সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম ইরানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং আরও তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির পশ্চিম-আজারবাইজান প্রদেশের খোয় শহরের কাছে। ওই শহরেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি পরিষেবার প্রধানের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা আইআরএনএ হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে।
ইরানের জরুরি পরিষেবার একজন কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। সেসব এলাকায় হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা এবং কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। আর তাই দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।
উল্লেখ্য, ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি মানুষ আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।
এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।
জেএন/এমআর