প্রতিবেশী জুয়েলের সাথে পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে ও মেয়ের সখ্যতা তৈরি হয়। জুয়েলকে তারা ভাইয়া বলে সম্বোধন করত। সে বিভিন্ন সময় তাদের দোকানে নিয়ে চকলেট ও চিপস কিনে দিত। আর সুযোগ খোঁজে অপহরণের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় ১ বছর ৯ মাস বয়সী মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ফারিয়াকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ দাবি করেন। এমন ঘটনা ঘটে নগরের বায়েজিদ থানার বালুচরা কাশেম কোম্পানির বাড়ির জামাই কলোনীতে। অপহরণের ৯ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-৭ অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার মোঃ জুয়েল মিয়া (২৪) চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার কাশেম কোম্পানির বাড়ির জামাই কলোনীর ভাড়া বাসার বাসিন্দা। সে সিলেটের বালাগঞ্জ থানার গোয়াইলজুরা বাজার ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় পিয়ার মোহাম্মদের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ফারিয়া পাশের রুমে অন্যান্য ছেলে মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করছিল। রুমে গিয়ে মেয়েকে না পেয়ে খুঁজাখুঁজি করলে লোকমুখে জানতে পারেন তার মেয়েকে প্রতিবেশী জুয়েল কোলে করে দোকানের দিকে নিয়ে যায়। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও জুয়েল এবং মেয়েকে কোথাও না পেয়ে আতঙ্কিত ও দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে পিয়ার মোহাম্মদ।
খোজাখুজির একপর্যায়ে জুয়েল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় পিয়ার মোহাম্মদের মেয়ে তার হেফাজতে আছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে বলেন, শিশু ফারিয়াকে পেতে হলে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। তাড়াতাড়ি টাকা না পাঠালে অপহৃত শিশুটিকে আর ফেরত দিবে না ও হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিবে।
পরবর্তীতে অপহৃত শিশু ভিকটিমের বাবা পিয়ার মোহাম্মদ উল্লেখিত বিষয়টি লিখিতভাবে র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করে। র্যাব-৭ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে অপহৃত শিশু ভিকটিমকে উদ্ধারসর ও অপহরণকারীকে করতে সক্ষম হয়।
জেএন/এফও/এমআর