রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, রেল এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। শীঘ্রই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও বুলেট ট্রেন যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় গেলে পাতাল ট্রেন ও ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করা হবে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে পটিয়া রেলস্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিভাগীয় শহরগুলোকে রেলের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা-বরিশাল রুটে ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের সবগুলো বিভাগ ও জেলায় রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেলকে ধ্বংস করেছে। তাদের আমলে রেল লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। একদিনে ১৩ হাজার রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল।
বর্তমান সরকার বিদেশ থেকে ৪৬টি উন্নতমানের রেল ইঞ্জিন ও প্রায় দুই শতাধিক উন্নতমানের রেল কোচ আমদানি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেলের উন্নয়নের পাশাপাশি রেল এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল পথে আরো এক জোড়া ট্রেন চালুর জন্য পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী বার বার আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। তার জোরালো প্রচেষ্টায় আমি এ লাইনে পুনরায় নতুন ট্রেন দিয়েছি। পটিয়ার এমপির ছাড়াও চন্দনাইশের এমপি নজরুল ইসলাম এ পথে ট্রেন চালুর ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন।
পটিয়া যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পটিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, জাসদ একাংশের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ মইন উদ্দিন খান বাদল, পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল হক, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য দেবব্রত দাশ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের সুজন, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আলমগীর আলম, পৌর কাউন্সিলর এম এ মন্নান, শেখ সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন বেলাল, গোফরান রানা, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে মন্ত্রী পটিয়া-দোহাজারী রুটে ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ, উদ্বোধন হওয়া এ লাইনে চলাচলরত ট্রেনটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারী স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪০মিনিটে নগরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার সন্ধ্যা ৬টায় তা চট্টগ্রাম নগর থেকে ছাড়বে। এছাড়া দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল করবে এ লাইনে।
জয়নিউজ/জুলফিকার