মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন – বিএইচআরএফ – এর তথ্যানুসন্ধান রিপোর্টে জানা গেছে চট্টগ্রামের এডিএম (উত্তর) আদালতে দীর্ঘদিন যাবত বিচার কাজে সংকট চলছে সপ্তাহে ৩ (তিন) কার্যদিবস উক্ত আদালত বসার শিডিউল থাকলেও বর্তমানে প্রায় ১৮দিন যাবত অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালত অনুপস্থিত থাকায় উক্ত আদালতের বিচার্যকার্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানী করতে না পারায় জনস্বার্থ ও নাগরিক অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে উক্ত মানবাধিকার সংগঠনটির মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, মানবাধিকার আইনবিদ এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট মোঃ সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা ঊশিকা, এডভোকেট জিয়াউদ্দিন আরমান প্রমুখ এক যৌথ বিবৃতিতে এডিএম আদালতে বিচারক সংকটে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, ”বিচার পাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিচারকহীনতা, বিচারহীনতার নামান্তর”। তারা অনতি বিলম্বে উক্ত সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য এডিএম কোর্টে সিআরপিসি’র ৯৮/১০০/ ১৪৪/১৪৫/ ১৪৭/১০৭/১১৭(সি) ধারার বিধান মতে ভিকটিম উদ্ধার, জমি-জমার বিরোধের কারণে রক্তপাত, শান্তি শৃংখলা ভঙ্গসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো দায়ের, শুনানী ও বিচার হয় । কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মামলার আধিক্য ও সংখ্যার কারণে একটি আদালতে সংকুলান না হওয়ায় ৩টি এডিএম কোর্ট সৃজন করা হয়। যথা এডিএম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর। অন্যান্য আদালত নিয়মিত বসলেও উত্তর আদালত প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি সপ্তাহে ৩ দিন বসেন মাত্র। কিন্তু গত ১৭দিন যাবত আদালত একেবারই বসে নি। ফলে বিচারপ্রার্থী ভিকটিম পরিবারের ভোগান্তি চরমে উঠেছে ও মামলাবাজদের পোয়াবারো হচ্ছে।
এডিএম উত্তর আদালতের অধিক্ষেত্রভুক্ত থানাগুলো হচ্ছে – মিরাসরাই, সীতাকুণ্ড, জোরারগঞ্জ, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ভুজপুর।
ভারপ্রাপ্ত আদালতে শুধুমাত্র চেম্বারে মামলা দায়ের হলেও এজলাশে শুনানীর সুযোগ নেই এবং জরুরী পুটআপ বা নথি উত্থাপনেরও সুযোগ না থাকায় বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন । আজ দীর্ঘ দিন পর উত্তর এডিএম কোর্ট চালু হওয়ায় বিচার প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ আদালতটি সপ্তাহে তিন দিনের স্থলে অন্যান্য আদালতের মতো পাঁচ দিন পরিচালনার দাবী জানান।
জেএন/এফও/এমআর