সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোড মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে আমরা ক্ষমতায় আছি বলে, সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন নিয়ে বাঁচতে পারে। আমরা বাংলদেশকে নিয়ে গিয়ে যাব। এ দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কউ থামাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা পাতাল রেলের কাজের উদ্বোধন করলাম। এর আগে আপনাদের উড়াল মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। এটা ওপর দিয়ে যাচ্ছে, এবার মাটির নিচ দিয়ে পাতাল রেল। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকার যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানে অনেকগুলো প্রকল্প কাজ চলমান। পূর্বাচল স্মার্ট সিটি হবে। নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। যতই আন্দোলন করুক কেউ কিছু করতে পারবে না যতদিন জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, করোনার সময় বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি। কোনো ধনী দেশ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।
কৃষি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সাশ্রয়ী হোন। কোনো জায়গা খালি রাখবেন না। যেখানে যা পারেন তা চাষাবাদ করেন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন।
বেলা ১১টার কিছু পর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
জেএন/এমআর