বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইগার্সকে ৩৭ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই হারে প্লে-অফে খেলা আশা শেষ হয়ে গেলো খুলনার। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনার অধিনায়ক সাঁই হোপ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট ১৫৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আশা দেখান দুই ওপেনার এনামুল বিজয় ও ফজলে মাহমুদ। তবে দলীয় ৩২ রানে ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন এনামুল বিজয়। এরপর ক্রিজে আসেন ইব্রাহিম জাদরান। ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফজলে মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪১ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭৩ রানে ২৮ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ফজলে মাহমুদ।
এরপর দলীয় ৯৭ রানে ২৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। ইব্রাহিমের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১৪৯ রানে ২১ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব।
সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জানাত করিম। অন্যদিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ইফতিখার আহমেদ। ৩০ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইফতিখার। অন্যদিকে দলীয় ১৮৯ রানে ৮ বলে ১৬ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল।
মাহমুদুল্লাহ ২ বলে ৪ ও ইফতিখার ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে পল ভ্যান মিকেরেন নেন ৩টি উইকেট।
১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় খুলনা। দলীয় ৩ রানে ৩ বলে ১ রান করে আউট হন তামিম। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক সাঁই হোপকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অ্যান্ডি বালবির্নি।
তবে দলীয় ৪৭ রানে ফের উইকেট হারায় খুলনা। ১৩ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান অ্যান্ডি বালবির্নি। এরপর দলীয় ৪৮ ও ৫৪ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় খুলনা।
৪ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল জয়। আর ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন সাঁই হোপ। এরপর ইয়াসির রাব্বি ও নাহিদুল ইসলাম মিলে লড়াই চালিয়ে যান। নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন ইয়াসির রাব্বি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮১ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১৩৫ রানে ২৪ বলে ২৪ রানে করে সাজঘরে ফিরে যান নাহিদুল ইসলাম। নাহিদুলের বিদায়ের পর পরই দলীয় ১৪০ রানে ৩৮ বলে ৬০ রান করে ফিরে যান ইয়াসির রাব্বি।
এরপর দলীয় ১৫৩ রানে ৫ বলে ১০ রান করে আউট হন নাসুম আহমেদ। এরপর শেষ ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় খুলনা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট ১৫৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স। বরিশালের পক্ষে করিম জানাত নেন ৪টি উইকেট।
জেএন/এমআর