মাত্র ১০ টাকা ইজারা চাওয়ায় ইজারাদারকে খুন হতে হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ডাকবাংলা মোড়ে। গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর ১ টায় ইজারাদার আবদুল মান্নান ইজারার টাকা চাইলে সিএনজি চালক ওমর আলী ও তার পুত্রের নেতৃত্বে এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছুরি নিয়ে ইজারাদারের উপর হামলা চালায়। এতে ইজারাদারকে রক্ষা করতে স্থানীয় সিএনজি সমিতির অর্থ সম্পাদক এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় পটিয়া পৌরসভার সিএনজি স্টেশন ইজারাদার আবদুল মান্নান পৌরসভার ইজারার ১০ টাকা চাইতে গেলে সিএনজি চালক ওমর আলী (৫০) তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই নিয়ে কথাকাটির জেরে ওমর আলী তার পুত্রকে ফোন করলে তার পুত্র সোহেল (২৩) এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলোপাতাড়ি ছুরি চালাতে থাকেন। এতে ইজারাদার আবদুর মান্নান, সিএনজি সমিতি অর্থ সম্পদক বদিউল আলম (৪২) আহত হন। তাদের মূমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে পটিয়া হাসপাতালে ও পরে চমেকে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় আবদুল মান্নান মারা যায়। অপর জন আহত বদিউল আলমের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার ভাই শহিদুল আলম।
নিহত আবদুল মান্নান পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মৃত চাঁন্দ মিয়ার পুত্র। তার স্কুল পড়ুয়া এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই ঘটনায় প্রধান আসামি সিএনজি চালক ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম জানান, ডাক বাংলোর মোড় এলাকায় পৌর পার্কিং চার্জ আদায়ের সময় সিএনজি চালক ওমর আলী পৌর চার্জ আদায় করতে দিতে অসীকৃতি জানান। চার্জ আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। পরে ৭-৮ জন ডাক বাংলো মোড় এসে ইজারাদার মান্নান ও বদিউল আলমকে ছুরিকাহত করে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, পার্কিং চার্জ আদায়কে কেন্দ্র করে ছুরিকাহতের ঘটনা ঘটে। বাক বিতন্ডার জেরে সিএনজি চালক ওমর আলীর পুত্র খবর পেয়ে তার বন্ধুদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুই জনকে ছুরিকাহত করে। ওই ঘটনায় গত বুধবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে মান্নান মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেএন/সঞ্জয়/এফও/এমআর