এখন থেকে যারা বই লিখবেন তারা যেখান থেকে যে তথ্য নেবেন, সেই সূত্র অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বইয়ের মধ্যে কখনো সূত্র লেখা থাকে না। আর কোথা থেকে লেখা নিয়ে থাকলে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা সাধারণ নিয়ম। এখন মানুষের মাঝে অনেক সচেতনতা এসেছে। কাজেই আমি এখন থেকে আশা করব, এখন থেকে যারা বই লিখবেন সূত্র উল্লেখ করে দিবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষাক্রম নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে, যার অধিকাংশই মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে, অবশ্যই সংশোধন করেছি এবং করব। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, সেখানে শুদ্ধ হবে। কিন্তু যেসব মিথ্যাচার-অপপ্রচার চলছে, সেটি তো উদ্দেশ্যমূলক। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে একটি গোষ্ঠী পিছনে লেগেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাডোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও যেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রায়, সেটা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে, সত্যিকার অর্থে করে করে শিখছে, যেটি তারা সারা জীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজনমতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি তো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে, সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন। এর কোনো অর্থ নেই।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমের বিশাল গুণগুলো রয়েছে, সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত এবং তা সমাজের জন্য জরুরি। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো তাদের আরো উসকে দেবে। বরং এ শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায়, সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া দরকার।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জাতীয় অ্যাথেলেটিকস্ ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য আবুল কালাম, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জেএন/এমআর