বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার গুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুতে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ৩টি বাসে করে প্রথমে ১৬টি পরিবারকে নিয়ে আসা হয় ট্রানজিট ক্যাম্পে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ মোট ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে নিয়ে আসা হবে। আজকে স্থানান্তরের বিষয়টি পরীক্ষামূলক। আগামীতে পর্যায়ক্রমে সংখ্যা আরও বাড়বে। আজকে যে ১৮০ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে তার মধ্যে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাও রয়েছে। তাদের পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারা পূর্বে কোনো ক্যাম্পের আওতায় নিবন্ধিত হয়ে থাকলে সে ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের তুমব্রু এলাকায় ৫৫৮ পরিবারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছে।’
গত ১৮ জানুয়ারি মিয়ানমারের তারকাঁটা লাগোয়া কোনারপাড়ার শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের ২ সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা ও আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত এবং শিশুসহ ২ জন আহত হন। ওইদিন বিকালে সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রোহিঙ্গাদের শেড ও ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা নাগরিক তারকাঁটা ডিঙিয়ে মিয়ানমার ভূখণ্ডে চলে যান। কয়েক হাজার রোহিঙ্গা কোনারপাড়ার প্রাকৃতিক পানি চলাচলের ধার (ছোট খাল) পার হয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তাবু ও ত্রিফল টাঙিয়ে তুমব্রু এলাকায় অবস্থান নেন। একদিন পর মিয়ানমারে চলে যাওয়া রোহিঙ্গারা পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তুমব্রুতে চলে আসেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজীজ বলেন, তুমব্রুতে স্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন, পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদ আজ সকাল থেকে কাজ শুরু করে। সকাল ১১টার পর রোহিঙ্গাদের বাসে ওঠানো হয়। প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে একটি স্লিপ দেওয়া হয়েছে। তাতে আরআরআরসি কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
জেএন/এমআর