দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অংশগুলোতে গত বছর প্রায় প্রতিদিনই টহল বজায় রেখেছিল চীনের কোস্ট গার্ড; দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সঙ্গে জলপথে সেই উত্তেজনা তুঙ্গে থাকার মধ্যে একইভাবে ফের নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে চীন।
বিতর্কিত জলপথে চীনা কোস্টগার্ডের ২০২২ সালের টহলের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওয়াশিংটন ভিত্তিক এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি বলছে, ভিয়েতনামের ভ্যানগার্ড ব্যাঙ্ক ঘিরে গত বছর দ্বিগুণের বেশি অর্থাৎ ৩১০ বার টহল দিয়েছে চীন।
ওই এলাকা ভিয়েতনামের তেল ও গ্যাসের মজুদের জন্য পরিচিত একটি এলাকা। চীন ও ভিয়েতনামী টহল জাহাজগুলোর কারণে বারবার সেখানে অচলাবস্থা তৈরি হয় সেখানে।
স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের সেকেন্ড থমাস শোলের কাছাকাছি ২০২২ সালে ২৭৯ বার টহল দিয়েছে চীনা কোস্টগার্ড, আগের বছর সেখানে টহল দিয়েছে ২৩২ বার। ওই এলাকায় সবসময় সৈন্য সরবরাহ করে ফিলিপাইন।
এছাড়া মালয়েশিয়ার তেল-গ্যাস নিয়ে কার্যক্রম চালানো লুকোনিয়া শোলে আগের বছরের ২৭৯ বার টহলের বিপরীতে ২০২২ সালে ৩১৬ বার টহল দিয়েছে চীনের কোস্টগার্ড।
এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সির বিশ্লেষণের বরাতে দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব টহল ও নজরদারির মাধ্যমে চীন দক্ষিণ-চীন সাগরে তার ৮০ শতাংশ দাবির ওপর নিয়ন্ত্রণ চায়। আর এর ফলে ওই অঞ্চলে বড় সংঘাতের আশঙ্কা করছেন আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রোগ্রামের প্রধান গ্রেগ পোলিং বলেন, বছরের প্রত্যেক দিন মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের জলসীমায় চীনা কোস্টগার্ডের জাহাজ চলাচল করে। ফলে ওইসব অঞ্চলে উত্তেজনা সবসময় উত্তেজনা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সংঘাতের ঘটনার নিশ্চয়তা তৈরি করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার বেইজিংয়ে একটি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, তার দেশের কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলো সামুদ্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং চীনের বৈধ ও আইনানুগ অধিকার এবং রস্বার্থ রক্ষায় তাদের দাবি করা এখতিয়ারভুক্ত জলসীমায় টহল চালায়।
সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে সামুদ্রিক বিরোধগুলো সঠিকভাবে সমাধানে প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোর সঙ্গে বেইজিং কাজ করতে চায়, সে কথাও বলেছেন তিনি।
জেএন/পিআর