নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় সাতকানিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে আরও তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুড়িশিয়াল আদালত-২ এর ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহার এ আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার সাবেক খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা’র আদালতে দুইটি মামলায় আত্মসমর্পন করেন। শুনানী শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ও শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের গণিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি কেন্দ্রর বাইরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় প্রথমে জসিম উদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তিকালিন জামিন নেন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে জামিনের নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির না হয়ে আদালত অবমাননা করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট দশটি মামলা হয়। সবকটিতেই জসিম উদ্দিনকে আসামী করা হয়। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই নির্বাচনে জসিম উদ্দিন নৌকার প্রার্থী খাগরিয়ার দুইবারের চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের বিপক্ষে বিরোধীতা করেন এবং তাদের নির্বাচনী ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপব সহিংসতা চালায়। এই ঘটনায় নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেন স্থানীয় থানায় জসিম উদ্দিনসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় এজহারভুক্ত আসামী জসিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য : গেল ইউপি নির্বাচনে খাগরিয়া ছিল পুরো বাংলাদেশের জন্য অস্ত্রবাজিতে একটি চিহ্নিত কালো স্পট।
জেএন/এফও/এমআর