হারের হ্যাটট্রিকে আসর শুরু করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জায়গা করে নিলো সেরা দুইয়ে। এ যেন পিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা। মঙ্গলবার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ৯ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছিল দুই দলেরই। তবে সেরা দুইয়ে থেকে শেষ করার জন্য চেষ্টার কমতি ছিল না কারোরই। এমনকী এক ম্যাচের জন্য দুই দলই উড়িয়ে আনে বিদেশি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। তবে চলতি আসরের অন্যতম সেরা দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলো কুমিল্লা।
কুমিল্লার হয়ে শুরুটা করেছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। চলতি বিপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করেন তিনি। তার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় সাকিবের দল।
তবে হাতের নাগালে থাকা ম্যাচটা জিততে কুমিল্লাকে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। এবাদত-সাকিবদের আগুনে বোলিংয়ে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ছিল কুমিল্লার ব্যাটিং। শেষ দিকে যদিও ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব আন্দ্রে রাসেলের ছোটখাটো ঝড়ে ৯ বল বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মুকিদুল মুগ্ধর বোলিংয়ে মুগ্ধতা ছড়ানোর পর কুমিল্লার হয়ে সময়োপযোগী ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। ৩৯ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে ২ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করেন রাসেল।
এর আগে সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন ব্যর্থ হন পাক উইকেটকিপার ব্যাটার রিজওয়ান। মাত্র ১১ রান করে স্বদেশি ওয়াসিম জুনিয়রের বলে কাটা পড়েন তিনি।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট দখলে নিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেছেন অধিনায়ক সাকিব, খালেদ ও ওয়াসিম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সাকিব ও ইফতিখারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে মান বাঁচিয়েছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেটিও পরাজয় আটকাতে পারলো না।
বরিশালকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে কুমিল্লা। ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট তাদের। এছাড়া কুমিল্লার কাছে হেরে একধাপ নিচে নেমে গেছে বরিশাল।
জেএন/এমআর