তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী ভয়াবহতা দেখছে বিশ্ব। একের পর এক ভবনে মাটির সঙ্গে মিশে মৃত্যু নগরীতে পরিণত দুই দেশের অনেক শহর। এবারের ভূমিকম্পে হতাহতের শেষ কোথায় তা জানা নেই। ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাতে বহু আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপে চাপা আছেন এখনও অনেকে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে বের করে আনাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরম বাস্তবতার মধ্যেও উদ্ধারকাজ থেমে নেই। তবে সংকট রয়েছে দক্ষ জনবল এবং উন্নতপ্রযুক্তির সরঞ্জামের। ভোগান্তি বাড়িয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাত।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। দুই দেশের পক্ষ থেকে সবশেষ জানা গেছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যু। তুর্কি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হিসাবে, ১২ হাজার ৩৯১ জন মারা গেছেন তুরস্কে। আর প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৩ হাজার।
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির শিকার লোকজনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে মানবিক সহায়তা। তবে হতাহতের পরিবারের আকুতি, ধ্বংসস্তূপে এখনও জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়ার সম্ভবনা থাকায় উদ্ধারকাজ যেন আরও দ্রুত চালানো হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, সোমবার তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০টি আফটার শক হয়েছে। এগুলোর মাত্রা ৪ দশমিক ০ বা বেশি ছিল।
জেএন/এমআর