চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার কলসি দিঘী এলাকা থেকে আড়াই বছরের শিশু হৃদয়কে অপহরণের পর ৪ হাত বদল হয়ে ফেনীতে পৌঁছে। তাকে গহীন এলাকায় আটকে রাখে রোজিনা আক্তার নামের এক নারী। সেখান থেকে বুধবার উদ্ধার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম ফেনীতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুমী শীল (৪৫), মোছাম্মৎ লাকী বেগম (৩৭), মোহাম্মদ আকিব (১৯), বেলাল হোসেন (৪০), হাবিবুর রহমান মজুমদার (৩০) ও রোজিনা আক্তার (৩২)।
গতকাল কৃস্পতিবার সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শিশু হৃদয় অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে ফেনী জেলার গহীন এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন রেলবিট সাইক্লোন (স্কুল) সেন্টারের সামনে থেকে শিশু হৃদয় (৩) অপহরণ হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর পিতা রবিউল আউয়াল ইপিজেড থানার মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থলের পাশে দোকানের থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ সুমী শীল, মোছাম্মৎ লাকী ও মোঃ আকিবকে অপহরণকারী হিসেবে সনাক্ত করেন।
৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমী শীল, লাকী বেগম ও মোহাম্মদ আকিকে আটক করে। তারা জানিয়েছেন, তারা শিশুটিকে বেলাল হোসেন (৪০) নামের একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তার বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানা এলাকায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
সে পুলিশকে জানায়, হাবিবুর রহমান মজুমদার (৩০) নামের একজনের কাছে শিশুটি রয়েছে। পরে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সেখানে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। তার স্বীকারোক্তিতে রোজিনা আক্তার নামের এক নারীর কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয়।
জেএন/এফও/এমআর