শেষ ১৯ বলে খুলনার দরকার ছিল ৩৯ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটারদের সবাই সাজঘরে। দায়িত্ব এসে পড়ল দুই উদীয়মান ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয় আর হাবিবুর রহমানের ওপর। দুজনেই দারুণভাবে প্রতিদান দিলেন সে আস্থার। হাবিবুরের ৯ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা খুলনা। তবে জিতেও কোনো লাভ হয়নি শাই হোপের দলের। কয়েক ম্যাচ আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। ৪৩ বলে ৬৪ রান করে খুলনার জয়ের বড় নায়ক মাহমুদুল হাসান জয়।
এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হলো এবারের বিপিএলের গ্রুপ পর্ব। ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টি জিতে শীর্ষ দুইয়ে থেকে শেষ করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৮ ম্যাচ জিতে তিনে রংপুর রাইডার্স। আর ৭ম্যাচ জিতে চারে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল সাকিবের বরিশাল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি বরিশালের ওপেনাররা। শুরুতে ৯ রানে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্য প্রান্তে এনামুল বিজয় থিতু হয়েও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। ২৮ রানে ফিরে যান এই ওপেনার। তিনে নামা চাতুরাঙ্গা সিলভাও পারেননি টিকতে, ফিরেছেন ১৪ রানে।
ব্যাট করতে নেমেই মারমুখি হন সাকিব আল হাসান। তবে ২২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তারকা এই অলরাউন্ডার। এরপর প্রিটোরিয়াসকে নিয়ে জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। ২১ রানে থাকা অবস্থায় বিদায় নেন এই আফগান ক্রিকেটার। প্রিটোরিয়াস থামেন ৪৮ রানে। এছাড়া করিম জানাত করেন ১৮ রান। বরিশাল থামে ১৬৯ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় খুলনা। অধিনায়ক শাই হোপও স্থায়ী হতে পারেননি, ফিরেছেন ১৫ রানে। অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নি করেন ৩৭ রান। তবে মূল ঝড়টা শুরু করেন জয়। তার অপরাজিত ৬৩ রানেই জয়ের ভিতটা পায় খুলনা। আর শেষদিকে হাবিবুরের ঝড়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে খুলনার দলটি।
জেএন/এমআর