নড়াইল-যশোর মহাসড়কের উভয়পাশ ৬ ফুট প্রশস্থকরণের জন্য শনিবার কাটা হচ্ছিল রাস্তার দুই ধারের গাছ। এতে চৌগাছা আলম ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রকাণ্ড একটি গাছ রাস্তার ওপর পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আর তখন লোহাগড়া থেকে নড়াইল ফিরছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
যানজটে মাশরাফির গাড়িও আটকে থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। তখন গাড়ি থেকে নেমে আসেন মাশরাফী। আর রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরান মাশরাফী।
গাড়ি থেকে নেমে মাশরাফি বলেন, আপনারা দিনে গাছ কাটছেন এতে যানজট হচ্ছে। সবার কষ্ট হচ্ছে। ঠিক সে সময় বিপরীত দিক থেকে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শোনা যায়। লোকজন দেখে অ্যাম্বুলেন্সচালক কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন।
মাশরাফী বললেন, সবাই অ্যাম্বুলেন্সটাকে সাইড দেন। তার দেহরক্ষী বায়েজিদ, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জামিল আহমেদ, শাকিল, ম্যানেজার বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নীলসহ তার বহরে থাকা সবাই গাছ সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাশরাফী নিজেও গাছ সরিয়ে দিতে সহায়তা করেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় যানজট নিরসন করা হয়।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার এমন উদ্যোগে রাস্তার পাশে থাকা লোকজন হাসিমুখে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান। তিনিও হাত নেড়ে হাসিমুখে উত্তর দেন।
যানজটে আটকে থাকা এক বৃদ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, লোকমুখে তার অনেক প্রশংসা শুনেছি। আজ নিজের চোখে দেখলাম।
শুধু মাশরাফী বলেই হয়তো মানুষের কষ্ট দেখে নিজে রাস্তায় নেমে গাছ সরালেন। দোয়া করি আমাদের সন্তান, আমাদের নেতাকে আল্লাহ সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখুন। সে যেন মানুষের সেবা করতে পারেন।
পরিবার নিয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার পথে এক যাত্রী বলেন, নেতা যদি হলে সে জেলার উন্নয়ন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আগে টিভিতে দেখেছি, আজ নিজের চোখে দেখলাম। মাশরাফী শুধু মাঠের নেতা নয় জনগণেরও নেতা। স্যালুট বস মাশরাফীকে।
বিকাশ সাহা নামের এক পথচারী বললেন, তিনি শুধু মাঠের নেতা নয়, জনগণের নেতাও। এমন নেতা থাকলে উন্নয়ন কেবল সময়ের বিষয়।
এর আগে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ যোগ দিতে ভোরে নড়াইল পৌঁছান। দুপুরে সদ্যপ্রয়াত লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বনি আমিনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
জেএন/পিআর