চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়ায় পুলিশ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র লেখা ৫টি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করেছে।
ট্রাফিক পুলিশের পটিয়া জোনের টিআই তরুণ চাকমা জানিয়েছেন, ইদানিং সংবাদপত্র, সাংবাদিক ও প্রেস লেখা অটোরিক্সা আশংকাজনক ভাবে বেড়েছে।
এসব অটোরিক্সা সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় পটিয়ায় কোন সাংবাদিক এই অবৈধকাজে জড়িত নেই। এর পরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।
পরে পুলিশ জানতে পারে পাশ্ববর্তী আনোয়ারা উপজেলার পরৈকারা গ্রামের জনৈক আবদুল মালেক সংবাদপত্র লিখে দক্ষিণ চট্টগ্রামে শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা টাকার বিনিময়ে চালান।
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে তদবির করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। আবদুল মালেক কোন পত্রিকার সাংবাদিক কিংবা সংবাদদাতা নন।
শতাধিক অটোরিক্সা সংবাদপত্র লিখে চালালেও এতদিন তার গাড়িগুলো আটক করা হয়নি কেন জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন সাংবাদিকদের আমরা সম্মান করি, কিন্তু সে যে প্রতারক এটা বুঝতে সময় লেগেছে।
জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের বাস ষ্টেশন, থানার মোড়, ডাকবাংলো মোড় এই তিন স্ট্যান্ড থেকে উপজেলার বিভিন্ন আন্তঃসংযোগ সড়কে প্রতিদিন কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক অটোরিকশা চলে।
এছাড়াও মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত মহাসড়ক ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অটোরিক্সা। সাংবাদিক পরিচয় দিলে মহাসড়কে নিষিদ্ধ এসব সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাধা দেয় না পুলিশ।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মাসিক মাসোহারার ভিত্তিতে শুধু পটিয়া নয়, দক্ষিন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাশখালী ও বোয়ালখালী উপজেলা এসব সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে আসছে।
স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের থেকে তথ্য পেয়ে পটিয়া ট্রাফিক পুলিশ প্রেস, সংবাদপত্র লেখা গাড়ি আটক শুরু করে।
আটক সিএনজি চালক মো. নাজিম বলেন, গাড়িটির মালিক আমি নিজেই। সাংবাদিক আবদুল মালেক মানিককে মালিক দেখিয়ে গাড়ির বডিতে লেখার কারন হচ্ছে পুলিশি হয়রানী থেকে বাঁচার জন্য।
তার জন্য মানিককে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। গত দুই মাস ধরে এ চাঁদা দিয়ে আসতেছি। আমাকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সেখানে পদবী দেওয়া হয় সংবাদপত্র ডিউটি।
পটিয়া ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তরুন চাকমা বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেএন/সঞ্জয় সেন/পিআর