দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলোচিত নেত্রী বানাজা বেগম নিশি।
দক্ষিণ জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব ও সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার বহিস্কারাদেশ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আ’লীগের দলীয় প্যাডে লিখিতভাবে তাকে বহিস্কার করা হলেও তা এতদিন জানাজানি হয়নি। গত শনিবার রাতে সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এটি প্রকাশ পায়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব জানান, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির মৃত্যুর কারণে ব্যস্ততার ফলে বিষয়টি মিডিয়ায় জানানো হয়নি। গত শনিবার বিভিন্ন মিডিয়ায় তার বহিস্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে।
বানাজা বেগমের বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন বানাজা বেগম নিশি।
দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে অন্য প্রর্থীকে জয়লাভের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। পরাজয়ের পর অনলাইন, ফেইসবুক লাইভে এসে দল, সরকার ও সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে বানাজা বেগম নিশি বিভিন্ন অশালীন বক্তব্য প্রদান করেন বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
এ অবস্থায়, গঠনতন্ত্রের ৫/(ক) ধারা অনুযায়ী সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বানাজা বেগম নিশিকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: কর্ণফুলীতে পুলিশ বক্সে হামলাসহ নানা বিষয়ে খুবই আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি।
গত পাঁচ বছর আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন।
সে নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা: ফারহানা মমতাজের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বানাজা হেরে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বানাজা বেগম নিশি জানান, বহিস্কারের বিষয়ে আমি দলীয়ভাবে কোন চিঠি পাইনি। একজনের ফেসবুক পোষ্টে প্রথম দেখেছি। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
জেএন/সঞ্জয় সেন/পিআর