ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। নিরলস উদ্ধারকাজ চলছে। তবে জীবিত উদ্ধারের আশা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্লান হয়ে আসছে। খবর বিবিসির
তিনটি উদ্ধারকারী দল বিবিসিকে জানিয়েছে, গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কে অস্থিরতা উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত করেছে।
জার্মান উদ্ধারকারীরা ও অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী শনিবার অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করে। তখন অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়।
একজন উদ্ধারকারী বলেছেন, খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত ৫০ জনকে লুটপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বন্দুকও জব্দ করা হয়েছে।
কেউ আইন ভঙ্গ করলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি হতে পারে মনে করছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
জেএন/এমআর