বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার দুই মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শরিফুর রহমানের আদালত এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
মহাসড়কে পিকেটিং করতে নেমে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ও ২৪ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন থরে জেল হাজতে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ও ২৪ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দুটি হয়। দুই মামলাতেই আসলাম চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানাধীন বটতল এলাকায় আসলাম চৌধুরীর নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন দেন। বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালান বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় পুড়ে যাওয়া তিনটি গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরের দিন ১৭ নভেম্বর সীতাকুণ্ড থানার উপ পরিদর্শক মো. সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আদালত পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার ৪৭ আসামির মধ্যে ২২ জন জামিনে রয়েছেন। জামিনে নেওয়ার পর পলাতক ২৩ জন। শুরু থেকে পলাতক দুজন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় দেওয়া অভিযোগপত্রের বিষয়ে গতকাল বুধবার আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
অন্যদিকে ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর মাদামবিবিহাট এলাকায় দোকান ও বস্দিঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২৪ ডিসেম্বর অন্য মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরির্দশক মো. মিজানুর রহমান।
ওই মামলায় ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক ও দণ্ডবিধি আইনে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় আসলাম চৌধুরীসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার অভিযোগ গঠন করে আদালত।
মামলার অভিযোগত্রের ৫৮ আসামির মধ্যে ৫৫ জন জামিনে রয়েছেন। এখনো পলাতক দুই আসামি।
জেএন/এফও/পিআর