শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, সেই মেরুদণ্ডের ডাল হলো শিক্ষক। আর এই মেরুদণ্ডের ডাল যদি শিক্ষাদানে নয়ছয় করে তাহলে শিক্ষার্থীদের উপায় কি? সাম্প্রতি এমন অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নিচিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ইনতাস মেরিন তানিসের বিরুদ্ধে।
* বদলির চারমাসে একদিনও ক্লাস নেননি শিক্ষিকা ইনতাস মেরিন তানিস
* চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী
* উদাসীন বক্তব্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার
জানা গেছে, গত ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর বদলি হয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হন নিচিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়োগের প্রায় চারমাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ক্লাস নিতে একদিনও স্কুলে আসেননি ইনতাস মেরিন তানিস। এ নিয়ে সঠিক কোন সদুত্তর না দিয়ে তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি বলে দায়সারা বক্তব্য দিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে ফজলুল হক।
তিনি বলেন, ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিয়ে আসায় ছুটি দিয়েছি। তবে সিভাসুতে ক্লাস করার বিষয়টি জানিনা। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কে তার বিষয়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি, তিনি তদন্ত জমা দিলে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিব।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এরআগে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান মোল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানেও এভাবে দীর্ঘ দুই বছরে কোন ক্লাস নেননি। মিথ্যা অসুস্থতার ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেখিয়ে নিজে ডাক্তারি শিখতে ক্লাস করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)। এভাবে কোমলমতি শিশুদের পাঠদানে প্রতিনিয়ত ধোঁকাবাজি করে আসছেন শিক্ষিকা ইনতাস মেরিন তানিস।
এ বিষয়ে নিচিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী জানান, গত ১৭ নভেম্বর মোল্লা পাড়া স্কুল থেকে বদলি হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন নিচিন্তায়। এরপর কখনো ক্লাস করতে আসেননি ইনতাস মেরিন তানিস। অসুস্থতার জন্য নাকি শিক্ষা অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে জনবল সংকটে ক্লাস পরিচালনা করতে নানান সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বশির আহমদ সরকার জানান, আসলে আমিতো এরআগে ছিলাম না নতুন এসেছি। মহিলাদেরতো অনেক সমস্যা থাকে তাই ছুটি দিয়েছি। সামনে থেকে আর ছুটি দিব না।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইনতাস মেরিন তানিসের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ করে প্রথমে কথা বললেও স্কুলের কথা জিজ্ঞেস করতে কল কেটে দিয়ে আর রিসিভ করেননি।
জেএন/জাবেদ/এমআর