আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ওরফে জারা (২৩)। তিনি ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ১ম বর্ষের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী। রাজধানীর আদাবর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে তিনি দীর্ঘদিন থেকে লেখাপড়ার আড়ালে ইয়াবা কারবার করে আসছে। অবশেষ বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক শিহাব করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিহাব করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাজধানীর আদাবর থেকে জারাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে আদাবর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক কারবার করে আসছিল। সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার টেকনাফ থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় নিয়ে এসে নিজ ভাড়াকৃত বাসায় রেখে খুচরা ও পাইকারি বিক্রিও করছিল বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, জারা ইয়াবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কৌশলে এড়িয়ে গেলেও পরবর্তীতে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার কাছে ইয়াবা আছে স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতো রুমের ভেতর বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ২ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক- ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া তার কাছ থেকে মাদক বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও দুইটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, জারা ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ১ম বর্ষের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী। সে এবং তার পরিবার মিলে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন পথে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে এসে পড়ালেখার আড়ালে ইয়াবা কারবার করে। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় হওয়ায় স্বল্প মূল্যে ইয়াবা ক্রয় করে রাজধানীতে বিক্রি করে। সে একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে রাজধানীতে মাদক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিত্য-নতুন বিশেষ বিশেষ পন্থা অবলম্বন করে। সে সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের ডিলার হিসেবেও কাজ করে। এই মাদকসমূহ সে পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রয় করে।
এছাড়াও গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
জেএন/এমআর