পিএসজিকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন মেসি

ইনজুরি সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে জাদুকরী এক শটে পিএসজিকে জয় এনে দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি

- Advertisement -

এ জয়ে পুরো পার্ক দে প্রিন্সেস তখন আনন্দে উন্মাতাল। স্টেডিয়ামজুড়ে চলছে হর্ষধ্বনি। মেসির বন্দনায় মুখর ধারাভাষ্যকাররা। আর পিএসজি খেলোয়াড় থেকে কোচ-সবাই ব্যস্ত তখন সেই মেসিকে নিয়ে পাগলাটে উদযাপনে।

- Advertisement -google news follower

টানা তিন হারের পর আজ লিগ ম্যাচে লিলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল প্যারিসের ক্লাবটি। প্রথমার্ধ শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও, বিরতি থেকে ফেরার পর একের পর এক বিপদ ঘিরে ধরে দলটিকে।

গোড়ালি মচকে যাওয়ায় ৫০ মিনিটে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। এরপর দুই গোল হজম করে পিএসজি পড়ে পিছিয়ে।

- Advertisement -islamibank

এ ম্যাচ হারলে হুমকির মুখে পড়ে যেত পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়েরের চাকরি। তবে গালতিয়ের যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। আর তাকে বাঁচালেন মেসি-এমবাপ্পেরা।

পার্ক দে প্রিন্সেসে দ্বিতীয় গোল করে পিএসজিকে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। আর মেসির গোলটি আসে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে। ইনজুরি সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে জাদুকরী এক শটে পিএসজিকে জয় এনে দেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আগুয়ান মেসিকে ডি বক্সের বাইরে ফেলে দেন বেনজামিন আন্দ্রে। পছন্দের জায়গায় ফ্রি কিক পেয়ে মেসি আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন পিএসজিকে।

বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে লিওঁর গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন তিনি। বল ডান পাশের পোস্টে লেগে জড়ায় জালে। তাতেই নিশ্চিত হয় পিএসজির জয়।

ফ্রি কিক জাদুতে ৭ গোলের ম্যাচে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেওয়ার আগে মেসি খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। পিএসজি শুরুতে দাপট দেখাচ্ছিল নেইমার-এমবাপ্পের কল্যাণে। ১১ মিনিটে এমবাপ্পে এগিয়ে নেন দলকে। নেইমারের পাস থেকে গোল করেন তিনি।

এরপর ভিতিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে ১৭ মিনিটে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন নেইমার। এর কিছুক্ষণ পরেই লিলে একটি গোল শোধ দেয়। গোল করেন বাফোদঁ দিয়াকিতে।

এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও, টানেল থেকে ফিরতেই পিএসজি পড়ে বিপদে। ৪৮ মিনিটে নেইমার পড়েন মারাত্মক চোটে। তার ডান পায়ের গোড়ালি পুরোপুরি মচকে যায়।

স্ট্রেচারে করে নেইমার মাঠ ছাড়তেই ম্যাচের লাগাম চলে যায় লিলের হাতে। ৫৮ মিনিটে বিতর্কিতভাবে পাওয়া পেনাল্টি থেকে অতিথিদের সমতায় ফেরান জোনাথন দাভিদ। মিনিট দশেক পর স্থানীয় সমর্থকদের একদম চুপ করিয়ে দেন জোনাথন বামবা।

লিলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পর পিএসজির ডাগআউট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খেলোয়াড়দের আত্ম নিবেদনে বিরক্ত হয়ে ডাগআউটে নেমে আসেন পিএসজি স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস কাম্পোস। তিনি তাঁতিয়ে তোলার চেষ্টা করেন এমবাপ্পে-ভেরাত্তিদের। কাম্পোসের চিল্লাপাল্লা কাজেও আসে বটে।

৮৭তম দারুণ এক গোলে পিএসজিকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। এরপর মেসির সেই ম্যাজিকাল গোল। যেই গোলে ২৪ ম্যাচ শেষে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ আঁ’র শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রাখলো প্যারিসিয়ানরা।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM