তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এলাকায় চলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারি। এর মধ্যেই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টেনেছে তুরস্ক। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ এলাকায় উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সিজির। গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানান, রাত থেকেই বেশির ভাগ এলাকায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হবে।
তবে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা কত, তা নির্দিষ্ট করে জানাচ্ছে না তুরস্ক বা সিরিয়া। এদিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের আশায় এখনো প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনেরা। প্রিয়জনকে জীবিত না পেলেও তাঁরা অন্তত লাশটা চান। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের এই আকুতি উদ্ধারকারীদের প্রতি।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পকবলিত আড়াই কোটির বেশি মানুষের বর্তমানে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূকম্পনপীড়িত তুরস্কের ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২ কোটির বেশি। এর মধ্যে ৭০ লাখই শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
জেএন/এমআর