মিরসরাইয়ে রবি মৌসুমে পতিত জমিতে উপযুক্ত আবহাওয়া ও বালু মিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার ইছাখালী ও সাহেরখালী ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকায় প্রায় ৭০ হেক্টরের বেশি জমিতে তরমুজের চাষ করে আশার আলো দেখছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কৃষকেরা। বর্তমানে অধিকাংশ গাছে ফুল ফোটার পাশাপাশি তরমুজের মুকুল এসেছে। গত বছর এসব জমিতে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়াতে এবছর বেড়েছে চাষের জমির সংখ্যা।
* ফুল ফোটার পাশাপাশি মুকুলের আগমণ
* ফাল্গুণ-চৈত্র মাসে তরমুজ কাটার সম্ভবনা
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইছাখালী ইউনিয়নে বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ লতার সমারোহ। একটা সময় উপজেলার ইছাখালী ও সাহেরখালী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে রবি মৌসমে খালি পড়ে থাকত, বর্তমানে ইছাখালী খাল থেকে পর্যাপ্ত পানি সংগ্রহ করে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তারা মিরসরাইয়ে তরমুজ চাষ করেছেন।
এদিকে স্থানীয় কৃষকেরা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক পর্যাপ্ত পরিমাণে সহযোগিতা পেলে নিজেরা তরমুজ চাষ করতে চান। কারণ নিজেদের জমিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে আসা কৃষকেরা বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।
জানাগেছে, এখানকার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে স্থানীয় কৃষকদের নিকট হতে পাঁচ মাসের জন্য প্রতি একর জমি ১২, ১৪ কিংবা ১৫ হাজার টাকা হারে খাজনায় বর্গা নিয়ে সেই জমিতে তরমুজের বীজ বপন করেন।
তরমুজ চাষি মোশাররফ বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর নিজ উপজেলার সুবর্ণচরে সফলতার সাথে তরমুজ চাষ করে আসছেন। তারা শুধু তরমুজ চাষের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত বছর মিরসরাইয়ে তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়াতে এবছর ১১জন মিলে ৭০ একর জমিতে তরমুজের চারাগাছ রোপণ করেছেন। এতে তাদের শেষ অবধি প্রায় কোটি টাকার বেশি খরচ পড়বে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা জানান, গত বছরের মত এবছর ইছাখালীতে সুবর্ণচরের চাষীরা তরমুজের চাষ করেছেন। স্থানীয় কয়েকজনও তাদের থেকে শিখে চাষ করা চেষ্টা করতেছেন। মূলত স্থানীয়দের এবিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকায় তরমুজ চাষে আগ্রহ কম। আর তরমুজ চাষে অধিক খরচের প্রয়োজন হয়।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, মিরসরাইয়ে তরমুজ চাষের বিষয়ে জেনেছি। তবে একমাস পূর্বে মিরসরাইয়ে জয়েন্ট করায় এখনো সারেজমিনে যাওয়া হয়নি। আশাকরি আগামী এক সাপ্তাহের ভেতর তরমুজ চাষকৃত জমিগুলো পরিদর্শন করবো। স্থানীয় কৃষকদের বিষয়ে জানান, যেহেতুৃ নতুন এসেছেন। আগামী বছর থেকে স্থানীয় কৃষকদের তরমুজ চাষে কিভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় সেবিষয়ে নিয়ে কাজ করবেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
জেএন/জাবেদ/এমআর