আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আগুনসন্ত্রাস ও জঙ্গিদের বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি বলে দলবাজি করি আমরা, কিসের দলবাজি? দলবাজি তো আপনারা (বিএনপি) করেছেন। শহীদ বেধিতে জাতীয়তাবাদী দাপটের দল, আপনারা গিয়ে ফুল ছিটিয়ে এদিক সেদিক লন্ডভন্ড করেছেন, মনে নেই?
‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে আমরা দলবাজি করি, গতকাল প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে গেলাম, আমাদের একটা মিনিট সময় লাগেনি। আমরা ৩ ঘণ্টায় সেখানে পৌঁছে বেধিতে ফুল দিয়ে এক মিনিটও দাঁড়াইনি। কোথায় দলবাজি করলাম? দলবাজিটা করলাম কীভাবে? বিএনপির কি মনে নেই, ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, আপনাদের নেত্রী ফুল দেওয়ার জন্য মূল বেধিতে উঠেছিলেন। শহীদ মিনারকে কারা অপমান করেছে?
তিনি বলেন, এই শহীদ মিনারে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে (এখানে বসে আছেন) খুর দিয়ে ১৪ ইঞ্চি কাটা হয়েছে। বিশাল গর্ত, রক্তে রক্তে ভিজে গেছে শহীদ মিনার। কারা করেছে? তার বেঁচে থাকার কথা ছিল না, কারা করেছে?
সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে সাভার স্মৃতিসৌধে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিতে গিয়েছিলেন। কী দৃশ্যপট, আমাদের নেতাদের ওপর কী অত্যাচার, সিভিল বেশে, নিরাপত্তা বাহিনীর লোক দিয়ে পেটানো হয়েছিল। কোনো রকমে ফুল দিয়ে নেত্রীকে ফিরতে হয়েছিল। এভাবে তারা অত্যাচার করেছে। শেখ হাসিনা যেখানে গেছেন সেখানেই বাধা, শহীদ মিনারে বাধা।
তারা (বিএনপি) দলবাজি করে ইতিহাসকে মুছে দিতে চায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, এই মাতৃভাষা বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। আমরা মাতৃভাষার মর্যাদা নষ্ট করেছি? মাতৃভাষাকে অপমান করেছেন আপনারা। আপনারা শহীদ মিনারকে রক্তাক্ত করেছেন। আপনারা একুশের চেতনাবিরোধী, একাত্তরের চেতনাবিরোধী।
তিনি বলেন, বাংলা রাষ্ট্রভাষা হলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আর আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেল, স্বীকৃতি পেল বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এটা হচ্ছে ইতিহাস।
আলোচনা সভাটি পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
জেএন/এমআর