চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে নয় শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে এক লাখ দুই হাজারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও তাইওয়ান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৯২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৯২২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৯২ লাখ ৮৯ হাজার ১২৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১২৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ২০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭২ হাজার ৫১ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৬১৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৯৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৪ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৭১ জন এবং মারা গেছেন ১১৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৫ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭২১ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩৮ জনের। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২১৫ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভূখণ্ডটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৭০৯ জনের। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪১৩ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮৯ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
জেএন/এমআর