আগে থেকে চিঠি দিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলা চালানোর নজির বাংলাদেশে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উড়ো চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবুও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূর্বে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলার নজির নেই। তবুও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হলেও কোথা থেকে এবং কীভাবে পাঠানো হয়েছে সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের সদরদপ্তর ও অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আতঙ্কের।
এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে লেখা আছে, ‘যাত্রাবাড়ীর দুটি বড় আবাসিক হোটেলে প্রকাশ্য দিবালোকে দেহব্যবসা হয়। এগুলো বন্ধ করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
পাকিস্তানের করাচির মতো পুলিশ সদরদপ্তরে বোমা মেরে পুলিশকে হত্যা করা হবে। এটা করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘চিঠি পাওয়া মাত্র যদি দেহব্যবসা বন্ধ করা না হয় তবে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলায় বোমা মেরে হামলা করা হবে।’
জেএন/এমআর