শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পিলখানা হত্যা দিবস। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনেরা। এদিকে, বিডিআর বিদ্রোহের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিএনপিকে দোষারোপ করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালটা শুরু হয়েছিল ততকালীন বিডিআরের বার্ষিক বিশেষ আয়োজন দিয়ে। কিন্তু শেষ হয় রক্ত, লাশ আর বারুদের গন্ধে। ১৪ বছর আগে বর্তমান বিজিবি সদরদপ্তর- পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য।
পিলখানায় চালান নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন অনেক সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও। দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহ শেষে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আর এই দিনে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা জানান। পরে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, বিজিবি মহাপরিচালকসহ নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘যারা সরকারকে পছন্দ করে না, তারাই ষড়যন্ত্র করেছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। এ সময় বিএনপি প্রধানের আচরণও ছিল সন্দেহজনক। ’
দেশের সার্বভৌমত্ব আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা— এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে বিডিআর বিদ্রোহের মতো চক্রান্ত হয়েছিল। ’
এদিকে, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যকারীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানায় রাজনৈতিক দলগুলোসহ নিহতদের পরিবার।
জেএন/এমআর