রাঙ্গামাটিতে দুই বন্ধুর ঝগড়ার জেরে ইজাবুল হক রাব্বি (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বন্ধুর ছুরিকাঘাতেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় ঘাতকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আমীর আলী নামে আরো একজন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৫টার দিকে শহরের ফরেস্ট রোড এলাকাস্থ কবরস্থানের পাশে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাব্বী (২৮) রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ বিএম মার্কেটের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে। আহত আমীর আলী ওই মার্কেটের দারোয়ান বলে জানা গেছে। আমির আলী বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কোতয়ালী থানার এসআই আবু নোমান জানিয়েছেন, সকালে শহরের ফরেস্ট রোডের কবরস্থানের সামনে রাব্বির মরদেহ দেখতে পেয়ে পথচারীরা থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য রাঙ্গামাটির জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, নিহতের বুকের বাম পাশে একটি বড় আঘাত ও একটি ছোট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি, ছুরির আঘাতে প্রচন্ড রক্তক্ষরনে যুবকটি মারা গেছে। তারপরও আমরা নিহতের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করবো।
এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দারোয়ান আমীর আলী জানিয়েছেন, ভোর রাতে রাব্বী ও তার বন্ধু মিলে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। কিছুক্ষণ পরে একজন চলে গিয়ে সে পুনরায় আবারো ফিরে এসে কোমর থেকে ছুরি বের করেই রাব্বীর বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করে।
রাব্বী কিছুটা দূরে এগিয়ে গিয়ে পড়ে যায় এবং প্রচন্ড রক্তক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমি এগিয়ে গেলে ঘাতক যুবক আমাকেও পেছন দিক দিয়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
এসময় আমি চিৎকার শুরু করলে ঘাতক পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে আমার চাচা আবছার উদ্দিন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নিহত রাব্বীর পিতা ব্যবসায়ি মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, নিহতের বন্ধুরাই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তিনি জানান, রাত এগারোটার সময় রাব্বীর সাথে তার পরিবারের সর্বশেষ কথা হয়েছিলো। এরপর সকালে তার মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন, পৌর কাউন্সিলর জামাল উদ্দিনসহ উদ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
জেএন/পিআর