ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিকের গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে যাওয়ার সময় শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিশিথ প্রামাণিক।
তিনি বলেছেন, তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই এ হামলা করা হয়েছে। পুলিশ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর।
হামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এসইউভির উইন্ডশিল্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়েছে।
প্রামাণিক কোচবিহারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘একজন মন্ত্রী নিরাপদ না থাকলে, সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা আপনি কল্পনা করতে পারেন। ঘটনাটি বাংলায় গণতন্ত্রের অবস্থারই প্রমাণ।’
হামলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্থানীয় অফিসে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) গুলি চালিয়ে একজন আদিবাসীকে হত্যা করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রামাণিকও জড়িত বলে বলে অভিযোগ উঠে। সেই ক্ষোভ থেকেই হামলা হয়েছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস অই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও করেছিল।
এর মধ্যে একটি হুইপ জারি করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। জানান, বিএসএফের গুলিতে মৃতের পরিবার যত দিন বিচার না পাবেন, তত দিন নিশীথ সিতাই এবং দিনহাটার কোনও ব্লকে সভা করতে এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকাগুলিতে বিজেপি সভা বা কর্মসূচি করলে তৃণমূল বুথ সভাপতিকে অপসারণ করা হবে। কারণ, তাতে প্রমাণ হয় যে ওই বুথ সভাপতি নিজের এলাকায় দলের সংগঠন মজবুত করতে পারেননি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের একটি সাম্প্রতিক সমাবেশে হত্যার পরে আদিবাসীদের উদ্বেগ মুছে ফেলার জন্য যথেষ্ট কাজ না করার কারণে প্রামাণিককে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, তারা প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে। তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেছিলেন, প্রামাণিক এই অঞ্চলে যেখানেই যান কেবল কালো পতাকা দেখতে পাবেন।
জেএন/এমআর