ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে উত্তাল সমুদ্রে অন্তত দেড়শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ শিশুসহ অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কাঠের তৈরি একটি নৌকায় করে দেড়শতাধিক শরণার্থী তুরস্ক থেকে সমুদ্রপথে ইতালি আসার পথে ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতর কেটে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ডুবে মারা গেছেন বলে জানায় ইতালির কোস্টগার্ড। খবর এবিসি নিউজের।
ইতালির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ৮০ জনকে জীবিত পাওয়া গেছে। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে চলে আসতে পেরেছে। ক্যালাব্রিয়া উপকূলের সাগর তীরবর্তী রেসোর্ট স্টেকাটো ডি কুত্রর কাছে নৌকাটি ডুবে যায়।
ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলের উপকূলীয় ক্রোটোন শহরের কাছে ভেড়ার চেষ্টা করার সময় জাহাজটি পাথরে টক্কর খেয়ে ভেঙে যায়। যারা বেঁচে ফিরে এসেছেন তারা বলছেন, নৌকাটিতে অন্তত দেড়শ লোক ছিল।
তবে নৌকাটি ভেঙে যাওয়ার সময় সেটিতে আসলেই কত মানুষ ছিল সেটি স্পষ্ট নয়। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ২শ’র বেশি মানুষ বহন করছিল। সেটিই হয়ে থাকলে এখনও ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ থাকার কথা।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এক বিবৃতিতে নৌকাডুবির ঘটনাকে বড় ধরনের এক মর্মান্তিক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। ৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যেতে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি বন্ধ হওয়া ‘অপরিহার্য’ মন্তব্য করেন তিনি বলেন, এতে কেবল পাচারকারীদের ফায়দা হয়, আর আজকের মতো এমন সব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
তুরস্ক থেকে কয়েকদিন আগে রওনা দেওয়া নৌকাটিতে ইরান, সোমালিয়া পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিল।
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার পথে প্রায়ই নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে অসচেতন ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে এভাবে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে অনেকেই পানিতে ডুবে মারা যান।
জেএন/পিআর