বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’ নিয়ে ছবি অনুরাগীদের চলমান নীরবতায় হতবাক হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের কিছু ভাবনার কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে জয়া আহসান ক্ষোভ ও অভিমান মিশিয়ে লেখেন, ‘‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমা হলে চলছে। আমাদের দেশে যারা ভালো ছবির জন্য তৃষ্ণার্ত, এমন একটি অপূর্ব ছবি নিয়ে তাদের নীরবতায় আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি।
যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি তো আমাদেরও, নাকি? বাংলাদেশের অপি করিম আর সোহেল মণ্ডল ছবিটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছে।
ছবিটির মূলে আছে বাংলা ভাষার জাদুকর লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভালো ছবি নিয়ে আমাদের পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীরা সরবে কথা বলতে থাকলে তবেই না ভালো ছবির আবহাওয়াটা গড়ে উঠবে, দর্শকদের তৃষ্ণা বাড়বে।’’
‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিটি দেখে জয়া আহসান ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের নাগরিক সমাজের একেবারে প্রান্তে জীবনযাপন করা কিছু মানুষের এমন মায়াভরা সিনেমা আমি দেখিনি।
জীবনের কঠিন কষাঘাত তাদের ম্রিয়মাণ, তিক্ত আর বাঁকা করে তুলেছে; কিন্তু সব ছাপিয়েও মমতা কীভাবে শেষ পর্যন্ত মানুষকে মানুষের সঙ্গে বেঁধে রাখে– সেই গল্পই দেখিয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী।’
জয়া আরও বলেন, ‘ভালো বাংলা ছবির চৌহদ্দি বড় করতে চাইলে আমাদের মনটাও তো প্রসারিত করতে হবে। আমরা সবাই যেন ভালো ছবির সঙ্গে থাকি।’
‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিতে আরও একটি প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছে দেশের তারুণ অভিনেতা সোহেল মণ্ডলকে। আরও অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়, দীপক হালদার, জয়দীপ মুখার্জি, অমিত সাহা ও কমলিকা ব্যানার্জি।
এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং কলকাতার প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক।
জেএন/পিআর