গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে দুর্নীতি তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ সময় রিট পিটিশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
গত বছরের ২১ আগস্ট একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘কিরণের কেরামতিতে বেহাল গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের কপি সংযুক্ত করে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের আবেদন করেন এক আইনজীবী।
জানা যায়, গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। পাশাপাশি কিরণের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—সেই মর্মে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন আসাদুর রহমান কিরণ। এরপর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও দলে ফিরতে কেন্দ্রে আবেদন করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। যার ফলে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে এরই মধ্যে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জেএন/এমআর