চতুর্থ ইনিংসে ৩২১ রান করে জেতাটা খুব সহজ কাজ নয়। তবে প্রথম ইনিংসেই ১৩৯ রানে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দল নিশ্চয়ই এই জয়ের লক্ষ্য পেয়ে সন্তুষ্ট। প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান তোলা সফরকারী জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮১ রানে। ৩২১ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ২৬ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিন করা ১ রান স্কোরবোর্ডে রেখে মাঠে নামেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান চারি। ব্রায়ান চারি একবার জীবন পান আবু জায়েদ রাহির বলে পয়েন্টে নাজমুল ইসলাম অপু ক্যাচ মিস করলে। তবে ইনিংসের ১৩ তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন চারি। উইকেটে এসেই মারতে শুরু করা ব্রেন্ডন টেইলর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৫ বলে ৪ চারে ২৪ রান করা টেইলরকে থামান তাইজুল। দুর্দান্ত এক রানিং ক্যাচ ধরেন ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা উপহার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল মাসাকাদজা-উইলিয়ামস জুটি। তবে মাসাকাদজাকে ফিফটি তুলতে না দিয়ে তাঁকে ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে ভাঙে মাসাকাদজা-উইলিয়ামসের ৫৩ রানের জুটি। এরপর বাংলাদেশকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান তাইজুল ইসলাম। টানা দুই বলে ফেরান প্রথম ইনিংসে ফিফটি পার করা শন উইলিয়ামস ও পিটার মুরকে। হ্যাটট্রিক হয়নি, তবে নিজের পরের ওভারে বোল্ড করে ফেরান সিকান্দার রাজাকেও। ম্যাচে প্রথমবারের মতো পান ১০ উইকেট, টেস্ট উইকেট সংখ্যায় পেছনে ফেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ফেরানোর দায়িত্ব নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক ওভারেই নাজমুল ইসলাম অপু ফেরান রেজিস চাকাবভা ও ব্র্যান্ডন মাভুটাকে। চাতারাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি ঘটান তাইজুল ইসলাম, প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পূর্ণ করেন ৫ উইকেটের কোটা।
৩২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই বাংলাদেশী ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে কাইল জার্ভিস ও টেন্ডাই চাতারার মিলিত প্রথম স্পেলে (১৩ ওভারে) বাংলাদেশ হারিয়েছিল ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে দুজনের মিলিত ১০ ওভারে কোন বিপদ ঘটতে দেননি দুই ওপেনার। সিকান্দার রাজা বোলিংয়ে এসেই উইকেট পাবার সম্ভাবনা তৈরি করেন। এলবিডব্লিউ এর জোরালো আবেদন আম্পায়ার নাকচ করলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। সেখানে দেখা যায় বল বেরিয়ে যেতো লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।
এরপর আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (৩য় দিন শেষে):
জিম্বাবুয়ে ২৮২/১০ ও ১৮১/১০ (৬৫.৪), মাসাকাদজা ৪৮, চারি ৪, টেইলর ২৪, উইলিয়ামস ২০, রাজা ২৫, মির ০, চাকাবভা ২০, ওয়েলিংটন ১৭, মাভুটা ৬, জার্ভিস ১*, চাতারা ৮; তাইজুল ৬২/৫, অপু ২৭/২, রাহি ২৫/০, মিরাজ ৪৮/৩, রিয়াদ ৭/০, মুমিনুল ৪/০।
বাংলাদেশ ১৪৩/১০ ও ২৬/০ (১০.১), লিটন ১৪*, ইমরুল ১২*; জার্ভিস ১১/০, চাতারা ১৫/০, রাজা ০/০।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের আরো প্রয়োজন ২৯৫ রান।