গ্রীসে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। এ দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ৬৬ আহত হয়েছে। তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যাত্রীবাহী ট্রেনটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকি যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি ফ্রেইট ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে প্রায় ৩৫০ জন আরোহী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর প্রায় ২৫০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সরকারের অবহেলার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির রেলকর্মীরা।
এদিকে, এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন গ্রিসের অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। বুধবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। কোস্টাস কারামানলিস বলেন, ‘এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি এই ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি ও পরিবহনমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছি। ’
আর গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এ দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটিকে দায়ী করেছেন। এ দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস কার্যালয় দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিনা সাকেলারোপোলু বলেছেন, তিনি মলদোভা সফর সংক্ষিপ্ত করে গ্রিসে ফিরছেন।
জেএন/পিআর