নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বরের বাবা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে জলঢাকা পৌরসভার আমরুলবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনের বাবা ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নুর মোহাম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়া বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে গত সপ্তাহে জলঢাকা পৌর এলাকার আমরুলবাড়ী গ্রামের বগুলাগাড়ী এলাকার আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে রংপুর নগরীর উত্তম হাজিরহাট বাওয়াই পাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে আলীর বিয়ে হয়।
শুক্রবার তাদের বিদায় অনুষ্ঠানে কনে বাড়িতে একশ জন অতিথি আসার কথা ছিলো। কিন্ত বরপক্ষ থেকে প্রায় আড়াই’শ অতিথি আসে। এসময় মাংস কম পাওয়ায় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় কনে পক্ষের লোকজনের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন বরের বাবা নুর মোহাম্মদ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
স্থানীয় আব্দুল মালেক বলেন, বিয়ে গত সপ্তাহে হয়েছে কিন্তু গতকালকে মেয়েকে বিদায় অনুষ্ঠানে ১০০ জন আত্মীয় আসার কথা ছিলো, সেখানে ২৫০জন আসে। বরের বাবা পরে গাড়িতে উঠার সময় কনের বাবাকে বলেন মাংস কম হইছে, আপ্যাপয়ন কম হইছে। এই কথা বলাতে কনের পক্ষের সঙ্গে বর পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বরের বাবাকে মারধর করে কনের পক্ষের লোকজন। দুই পক্ষে মারামারি হওয়াতে আর বউকে নিয়ে যায়নি।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছি।
জেএন/এমআর