২০১৬ সালের পর দেশে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ। ৭ বছর পর সেই ইংলিশদের বিপক্ষেই ফের সিরিজ হারল টাইগাররা।
এবার জস বাটলারের দলের সামনে সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেওয়ার। তবে টাইগারদের ভাগ্য বদলে দিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।
সোমবার (৬ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়ে ৫০ রানে জিতল বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইংলিশ পেসার স্যাম কারানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ‘গোল্ডেন ডাক’ হয়ে ফিরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১১ রানে কারানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম।
মাত্র ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বিপর্যয়ে থাকা দলকে টেনে তুলেন মুশফিক ও শান্ত। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে শান্ত রান আউট ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন মুশফিক।
তবে নিজের সেই ইনিংসটিকে শতকে পরিণত করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৭০ রানে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে একাই টেনে নেন সাকিব। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষদিকে আফিফ, মিরাজরা ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হলে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি টাইগাররা। ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তামিম ইকবালের দল।
২৪৭ রানের ছোট্ট লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়েছে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের ইংলিশরা। সাকিবের ঘুর্ণি আর এবাদতের স্পিডের কাছে পরাস্ত হয়ে বঞ্চিত হয়েছে ধবল ধোলাইয়ের সুযোগ থেকে। ১৯৬ রানেই শেষ হয় ইংলিশদের ইনিংস।
তবে এদিন ইংলিশদের হয়ে ব্যাট হাতে প্রায় সবাই রান করার চেষ্টা করেন। ফিল সল্ট ৩৫, জেমস ভিন্স ৩৮, ক্রিস ওকস ৩৪, জস বাটলার ২৬, স্যাম কারান ২৩ এবং জেসন রয় ১৯ রান করেন।
টাইগারদের হয়ে বল হাতে সাকিবের ৪টি ছাড়াও এবাদত ও তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জেএন/পিআর