নগরে গ্যাস সংকট থাকবে আরো ১০ দিন । এই সংকটের মধ্যে কাটাতে হবে নগরবাসীকে। কক্সবাজারের মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় নতুন করে এই সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট কাটাতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) গ্যাস সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) ম্যানেজার (কাস্টমার মেন্টেনেন্স) অনুপম দত্ত বিষয়টি জয়নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এলএনজি সাগরতলের বাল্বটি মেরামতের জন্য এক্সিলেটর এনার্জি কাজ শুরু করেছে। তবে সাগরে জোয়ার-ভাটা বুঝে কাজ করতে হচ্ছে। বাল্বের লিক মেরামতে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে এক্সিলেটর এনার্জি।
তিনি আরো বলেন, সোমবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় গ্রিড থেকে ২২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। এ সরবরাহ আরো বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট দেওয়া হতো। কিন্তু পাইপ লাইনের বাল্বে সমস্যার কারণে তা ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পায় কেজিডিসিএল। বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। গ্রাহকদের কাছে জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে দুই শতাধিক শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)। সিএনজি স্টেশনে কমে গেছে গ্যাসের চাপ। একইসঙ্গে গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবারও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট ছিল। গ্যাস সংকটের কারণে অনেক বাসা-বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহেশখালী সাগরতলে এলএনজি বাল্বে লিক হওয়ায় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ৩শ’ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরীতে সৃষ্টি হয় তীব্র গ্যাস সংকট ।
<h5/>জয়নিউজ/আরসি<h5/>