চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গাজমির বিরোধের জেরে চাচার কিরিচের কােপে ভাতিজা শাহাব উদ্দীন (৩৩) নিহত হয়েছে। সালিস বৈঠকে কথা-কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন।
বুধবার সকাল ৯টায় উপজেলার কাথরিয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মাইদারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিহত শাহাব উদ্দিন ওই এলাকার মোহাম্মদ এয়াকুব হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন মাে. শাহজাহান (৩৮), মাে. শাহ আলম (৩৫) ও তাদের এয়াকুব হোসেন (৬২)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মৃত আলমগীরের ছেলে ইয়াকুব হোসেন ও নুর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আজ বুধবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য নােমান চৌধুরীর মধ্যস্থতায় এই বিরোধ নিরসনে সালিস বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকের শুরুতে কথা-কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের কিরিচের কােপে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন ইয়াকুব হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দীন। তাঁকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অমিত দাশ জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহাব উদ্দীনকে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়। তার ভাই ও বাবাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শাহাব উদ্দীনের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন নুর হোসেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।
কাথরিয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিক আহমদ চৌধুরী জানান, ইয়াকুব হোসেন ও নুর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ হলে ইয়াকুব হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দীন খুন হন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দীন পিপিএম জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনা তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
জেএন/পিআর