বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। তার ওপর কিছুদিন ধরে মাংসের বাজারে রীতিমতো আগুন। দামে সর্বকালের রেকর্ড এ পৌছেছে ব্রয়লার মুরগী।
মাঝে সামান্য কমলেও এ সপ্তাহের বাজারে ফের বেড়েছে দাম। দামের উদ্ধগতিতে সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসে। খাসির মাংসেও লেগেছে দামের বাড়তি আঁচ। চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিনসহ বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক থেকে দেড় মাস ধরে মুরগির মাংসের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এখন ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে কেজিতে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, এক মাস আগে যা ছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে।
সোনালি মুরগির দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা।
মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় খামারিদের দায়ী করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদন করে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের’ মাধ্যমে মুরগি উৎপাদন করছে।
ক্ষুদ্র খামারিদের হাত থেকে বাজারটা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় তারা একতরফাভাবে দাম বাড়িয়ে রাখছে। এ অবস্থায় সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ক্ষুদ্র খামারিদের আবার উৎপাদনে ফেরানো গেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এদিকে শবে বরাতের আগেই বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও দাম কিছুটা কম।
এক মাস আগে গরুর মাংস কেজিতে বেড়েছিল ৫০ টাকা। আর এক মাস আগে খাসির মাংস দরদাম করে ১ হাজার টাকায় কেনা যেত। সেটা এখন প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১শ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না।
মাছ ও সবজির বাজারের উত্তাপ একটু কমলেও তা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিনের দামে কোনো পরিবর্তন নেই।
জেএন/পিআর