জেলা প্রশাসন উদ্যোগে সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন মালিকপক্ষ।
নিহত প্রত্যেক পরিবার পাবে ১০ লাখ আর যে দু’জন পা ও চোখ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার ৫ লাখ টাকা এবং আহত অন্যরা চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা করে পাবেন।
গত শনিবার সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার সাত শ্রমিক মারা যান। আহত হন আরও ২৪ জন। দুর্ঘটনার পর গত মঙ্গলবার নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য শ্রম আদালতে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বৈঠক শেষে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ বাড়াতে রাজি হয়েছে মালিকপক্ষ। সে হিসেবে ৮ লাখ টাকা করে চেক প্রশাসনের কাছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নিহত সাতজনের প্রত্যেককেই মালিক পক্ষ ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে অঙ্গহানি হওয়া শ্রমিকরা ৫ লাখ টাকা করে ও অল্প আহতরা ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের টাকা পৌঁছে দেব।
বৃহস্পতিবার নিহত পাঁচজনের পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চারজনের পরিবারকে চেক দেওয়া হয়েছে। একজনের পরিবারের কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় তা ঠিক করে আনতে বলা হয়েছে।
ইউএনও মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আহতরা কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত সবরকম বেতন-ভাতা পাবেন। সুস্থ হওয়ার পর তারা চাইলে কাজে ফিরতে পারবেন। তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে তাদেরও চাকরি দেওয়া হবে।
এদিকে সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির অনুসন্ধানে নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে সাত সদস্যের কমিটিতে বৃহস্পতিবার একজন কেমিস্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমন বড়ুয়া।
কেমিস্ট যুক্ত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সদস্য বেড়ে দাঁড়াল আটজনে। নতুন সদস্যকে নিয়ে আরও দুইদিন তদন্ত কার্যক্রম চালানোর পর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক।
জেএন/পিআর