সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ ইউনিটেক্সের তুলার গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনো আগুন নেভেনি। প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
তাছাড়া ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদত হোসেন, মডেল থানার ওসি, ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসারগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকি করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, গত এক সপ্তাহ যাবত এসএল গ্রুপ গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিং এর কাজ করছিল বলে জানা যায়, এবং ধারণা করা হচ্ছে- ওয়েল্ডিং এর আগুনের স্ফূলিঙ্গ থেকেই অগ্নিপাতের সূচনা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার সময় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের নেমসন কন্টেইনার ডিপো’র পাশে অবস্থিত “এসএল” গ্রুপের মালিকানাধীন “ইউনিটেক্স গ্রুপ” এর ভাড়ায় নেওয়া একটি তুলার গোডাউনে আগুন লাগে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন দমকল কর্মীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সীতাকুণ্ড, কুমিরা, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসসহ মোট ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পানিসংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে আশপাশের সব জলাশয়ের পানি শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কিছুটা দূরের আরেকটি জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে।
তুলার আগুন নেভানো কষ্ট। জায়গা মতো পানি না পড়লে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কষ্টকর। আমরা যে পানিগুলো দিচ্ছি সেগুলো টিনের উপরেই পড়ছে। চেষ্টা করছি ভেতরে পানি দেওয়ার জন্য। আগুনের তীব্র তাপের কারণে সামনে গিয়ে পানি দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন গ্যাসে সিলিন্ডার দিয়ে কাটিয়ের কাজ করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলাতে গিয়ে পড়লে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, চার মার্চ (শনিবার) বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাত জন নিহত হন। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
জেএন/পিআর