রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী বাস থেকে বিনোদপুর নামেন। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার তার সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলে তিনি তার বন্ধুদের ডেকে আনেন বিনোদপুর। পরে তার বন্ধুরা ড্রাইভার ও হেলপারকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মিলে শিক্ষার্থীদের একজনকে মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
আরও জানা যায়, বিনোদপুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে বিনোদপুর গেটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ঢিল ছুঁড়ে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একাংশ মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার কয়েকজন অনুসারী। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাইক রেখে চলে যান তারা। এ সময় ৪টি বাইক ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। এ সময় বাইক নিতে গিয়ে আহত হয়েছেন খালিদ নামে এক শিক্ষার্থী।
এদিকে বিনোদপুর গেটে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও ঘটনার সময় কাউকে দেখা যায়নি। এ ছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতানা ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
জেএন/এমআর