আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সাত দফা দাবি না মানলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আন্দোলনের শুরুটা হতে পারে রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় নেতৃবৃন্দ এই হুঁশিয়ারি জানান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। যেন-তেনভাবে বিরোধীদের সবাইকে গ্রেফতার ও হয়রানি করা চলবে না। আইন বিরোধী দলের জন্য একরকম আর সরকারি দলের জন্য একরকম, এটা চলতে পারে না। একটা অনির্বাচিত সরকার এটা করতে পারে না। অমি অবশ্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, সঙ্গে অন্যান্য রাজবন্দিদেরও মুক্তি চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান চাই। কিন্তু সংলাপ নিয়ে নাটক করলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি যোগ করেন, আপনাকে চলে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে। এসময় মির্জা ফখরুল সংলাপে দাবি মেনে না নিলে ৮ নভেম্বর রোডমার্চ করে ৯ তারিখ রাজশাহীতে সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারের উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, গায়েবি মামলা বন্ধ করতে হবে, নইলে খবর আছে। জনতার আদালতে বিচার হবে। তিনি বলেন, এটা কোনো দলের জনসভা নয়, এটা জাতীয় ঐক্যের জনসভা। সরকারকে বলবো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে দেখে যান, মানুষ কিভাবে জেগে উঠেছে। এখন আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করলে হবে না, গ্রামে-গঞ্জে যেতে হবে। দাবি মেনে নিন, নইলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
জয়নিউজ/জুলফিকার