সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে গতকাল বুধবার আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
হারুন অর রশিদ বলেন, গতকালের যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত। আসলে সুপ্রিম কোর্ট একটি পবিত্র জায়গা। এখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়। মানুষ যখন ভিকটিম হয় বিচার চাইতে এখানে আসে।
তিনি বলেন, এরকম পবিত্র জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে তা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব। পাশাপাশি আমরা মনে করি, আজকে যে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে তা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক তদারকির কারণেই। গতকাল সামান্য ঘটনা ঘটলেও আজকে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। যেখানে আমারও পুরো পোশাকে, সাদা পোশাকে এসেছি। প্রত্যেকটি জায়গায় যাচ্ছি। আমি মনে করি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে এবং রেজাল্ট ঘোষণা হবে। আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। সে কারণে আমরা অত্যন্ত সোচ্চার থাকব। এলার্ট থাকব।
ডিবিপ্রধান বলেন, সাংবাদিক ভাইদের কাছে আবারও বিনীত অনুরোধ করছি, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আপনারা কিছু মনে না করে… আসলে সাংবাদিক এবং পুলিশ সব সময় আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনারা হলেন সমাজের আয়না। আপনাদের কাছে তথ্য পেয়েই আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করে থাকি। আশা করি আগামী দিনগুলোতে আমরা আবারও একসঙ্গে কাজ করব।
এর আগে ল’রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সেক্রেটারি আহমেদ সারোয়ার ভুঁইয়া বক্তব্য দেন।
জেএন/এমআর