দলবেঁধে নসিমনে চড়ে ২২ তরুণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে আর যাওয়া হলো না। তাদের বহনকারী নসিমনকে চাপা দেয় একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই তরুণ। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান একজন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৬ জন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর-চরখালী সড়কের শংকরপাশা ইউনিয়নের সামনে সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে নসিমনে করে তরুণরা বাগেরহাট থেকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় শংকরপাশা ইউনিয়নের সামনে সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন রাস্তায় মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক দিয়ে এসে নসিমনটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। পিরোজপুর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান। বাকিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের আবুল হোসেন মিনার ছেলে ইয়াসিন মিনা (১৪), কচুয়া উপজেলার আল আমিন মল্লিকের ছেলে শাহিন মল্লিক (১৮) ও কচুয়া উপজেলার মো. বাদশা (১৮)।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সোহেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আসা হয়। এরমধ্যে ইয়াসিন মিনা নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার ধুপপাশা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে মনিরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। মৃতদেহের মাথা থেতলানো ছিল।
মনিরুল ইসলাম পৌরসভার কেষ্টনগর এলাকার মোয়াজ্জেম আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর রাস্তার পাশে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কোনো গাড়ি চাপায় তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেএন/এমআর