বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার অনেক সাফল্যে মোড়ানো। তার নামের পাশে এবার গ্র্যাজুয়েট শব্দ যুক্ত হলো। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) ২০০৯-১০ সেশন থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়টির ২১তম সমাবর্তন থেকে গ্র্যাজুয়েশন সনদ পান তিনি। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে জেতে বাংলাদেশ। এই জয়ে ব্যাট ও বলে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল সাকিবের। রবিবার বাংলাদেশ দলের কোনও কার্যক্রম না থাকায় সাকিব যান সমাবর্তনে। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এআইইউবির ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
২০০৯-১০ সেশনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ভর্তি হয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে লেখাপড়াটা ঠিক মতো করতে পারেননি। অবশেষে ১৪ বছর পর বিবিএ সম্পন্ন করলেন।
সাকিবের সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার ছবি, ভিডিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। যেখানে সমার্তনের বিশেষ পোশাক পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে। এসব ছবি, ভিডিওর কল্যাণে সাকিবের নামের বিশেষ অংশ বা বংশ উপাধি জানা গেছে। গোটা দুনিয়া তাকে সাকিব আল হাসান নামে চিনলেও এআইইউবি’র ছাত্র হিসেবে তার নাম খন্দকার সাকিব আল হাসান। তার আইডি নম্বর ০৯-১৪১৭৭-২। গ্রাজুয়েশনের আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি পেয়ে আপ্লুত সাকিব তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘অনেক বছর হয়েছে আমার ক্রিকেট খেলার, তখনও আম্মা যখন ফোন করতো, জিজ্ঞেস করতো যে পড়াশোনার কী অবস্থা। আজকে আমি খুবই খুশি, খুবই আনন্দিত ও গর্বিত যে, অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশি কিছু অর্জন আছে আমার, তবে এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল।’
সাকিব আরও বলেছেন, ‘খুব বেশি কিছু বলার নেই। সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করি সবার জীবন সামনে এগিয়ে যাবে। শুধু একটা কথাই বলবো, যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে সততার সাথে কাজ করবেন, আমি নিশ্চিত আপনাদের সবার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
জেএন/এমআর